দ্বিতীয়বার জার্মানি ও ফ্রান্সে লকডাউন
ফরাসী রাষ্ট্রপতি এমমানুয়েল ম্যাক্রন কমপক্ষে নভেম্বরের শেষ অবধি দ্বিতীয় জাতীয় লকডাউন ঘোষণা করেছেন।গতকাল বুধবার ফ্রান্স জনগণের চলাচল সীমিত করতে কঠোর নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দিয়েছে।করোনার সংক্রমণ রোধে জার্মানি পানশালা ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করতে বলেছে।
গতকাল জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল রাজ্যপ্রধানদের সঙ্গে ভিডিও সম্মেলনে যুক্ত হন ও জার্মানিতে আংশিক লকডাউনে সম্মত হন।তবে দোকানগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার শর্তে খোলা রাখা যাবে।লকডাউনের সময়ে দেশটির সিনেমা, থিয়েটার, কনসার্ট হল, খেলাধুলার স্থান, বাণিজ্য মেলার মতো আয়োজনও বন্ধ থাকবে।
শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া নতুন পদক্ষেপের আওতায় লোকদের কেবল প্রয়োজনীয় কাজ বা চিকিৎসার কারণ ছাড়া বাড়ির বাহিরে যেতে দেওয়া হবে না।রেস্তোঁরা এবং বারগুলির মতো অ-প্রয়োজনীয় ব্যবসা বন্ধ থাকবে, তবে স্কুল এবং কারখানাগুলি উন্মুক্ত থাকবে।
ফ্রান্সে এখন দিনে ৫০ হাজারের বেশি রোগী সনাক্ত করা হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট এমমানুয়েল ম্যাক্রন আরও কঠোর লকডাউন নিয়ন্ত্রণের ঘোষণা দেবেন বলে মনে করছেন দেশটির কর্মকর্তারা।
‘আমরা যদি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) ভর্তি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি তবে তা অনেক দেরি হয়ে যাবে।’জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেনস স্পান ।
ইতিমধ্যে নেদারল্যান্ডসের আইসিইউ করোনা রোগীতে পূর্ণ হওয়ায় সেখান থেকে জার্মানিতে রোগী আসতে শুরু করেছে। রাশিয়ার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী তাতিয়ানা গোলিকোভা বলেছেন, তার দেশে আইসিইউ ৯০ শতাংশ ভরে গেছে।
ইউরোপের দেশগুলোর সরকারকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
No comments