কোমরে ব্যথার কারন,লক্ষণ ও প্রতিকার

 

কোমরে ব্যথা  রোগ এখন প্রায় সব মানুষের মধ্যেই দেখা যায়।এমন মানুষ হয়ত নেই যে একবারও কোমরে ব্যথা অনুভব করেননি।তরুণাস্থির পরিবর্তনের ফলে এ ব্যথার সুত্রপাত হয়। রোগের উপসর্গ না থাকলে ও কোমরে ব্যথা অনুভব করে।

কোমরে ব্যথার কারনঃ

চেয়ার বা টেবিলে ঠিকমতো না বসলে ব্যথা অনুভূত হতে পারে,অফিসে দীর্ঘক্ষণ বসে একই ভঙ্গিতে কাজ করেন তাঁদের কোমরে ব্যথা হয়ে থাকে,শুয়ে বা কাত হয়ে বই পড়লে মেরুদণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ব্যথা অনুভূত হয়,

মেরুদণ্ডে অস্বাভাবিক চাপ পড়লে তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যথা হয়,মহিলাদের হাড় ক্ষয় জনিত সমস্যার কারণে ৩০ বছরের পর থেকে কোমর ব্যথা হতে পারে,এছাড়াও স্পন্ডাইলাইটিস বা হাড়ের প্রদাহ, আরথ্রাইটিস, স্নায়ুর রোগ ইত্যাদি কারণেও কোমর ব্যথা হতে পারে।

কোমর ব্যথার কিছু লক্ষণঃ 

১)কোমরের ব্যথা আস্তে আস্তে বাড়তে পারে।

২)কাজকর্মে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। ব্যথা কোমরে থাকতে পারে বা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে পারে।

৩)অনেক সময় কোমর থেকে ব্যথা মেরুদণ্ড দিয়ে মাথা পর্যন্ত উঠতে পারে ও রোগী অনেকক্ষণ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না।

৪)ব্যথার সঙ্গে পায়ে ঝিন-ঝিন জাতীয় ব্যথা নামতে বা উঠতে পারে, হাঁটতে গেলে পা খিচে আসে বা আটকে যেতে পারে, ব্যথা দুই পায়ে বা যেকোন এক পায়ে নামতে পারে।

 দীর্ঘদিন পর রোগীর কোমর ও পায়ের মাংসপেশীর ক্ষমতা কমে আসে এবং শুকিয়ে যেতে পারে এবং রোগী চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। 

কোমর ব্যথার প্রতিকারঃ 

চিকিৎসকরা রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সাধারণত ব্যথানাশক এনএসএআইডিএস গ্রুপের ওষুধ, মাসল রিলাক্সজেন ও সেডেটিভজ জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন। 

কিন্তু সেজন্য অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়া উচিত।কোমর ব্যথাজনিত সমস্যার অত্যাধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। এই চিকিৎসাব্যবস্থায় চিকিৎসক রোগীকে বিভিন্ন প্রকার ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

তা ছাড়া চিকিৎসা চলা অবস্থায় কোমরে নির্দিষ্ট অর্থোসিস বা ব্রেস প্রয়োগ করে থাকেন।

ছবিঃমেডিকালনিউজটুডেডটকম

 

No comments

Powered by Blogger.